খেজুর বিশ্বের অনেক গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে। এটি পুষ্টিমানে যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। খেজুর সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
এই নিবন্ধটিতে খেজুর খাওয়ার ৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সেগুলি কীভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
১. খুব পুষ্টিকর: খেজুরে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। তবে শুকনো ফল হওয়ায় খেজুরে ক্যালোরি বেশি।
২. প্রচুর ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রোগ-প্রতিরোধে সাহায্য করে: খেজুরে বেশ কয়েকটি ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদরোগ, ক্যান্সার, আলঝাইমার এবং ডায়াবেটিসের মতো নির্দিষ্ট দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার বিকাশ রোধ করতে পারে।
৪. মস্তিষ্ককে ভাল রাখে: খেজুর মস্তিষ্কের প্রদাহ হ্রাস করতে পারে যা আলঝাইমার রোগ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫. গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী হতে সহায়তা করে: গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহের সময় খেজুর খাওয়া নরমাল ডেলিভারী হতে খুব সাহায্য করে।
৬. চমৎকার প্রাকৃতিক মিষ্টি: খেজুরের মিষ্টি স্বাদ, পুষ্টিগুণ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির কারণে বিভিন্ন রেসিপিতে সাদা চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা: কোষ্ঠকাঠিন্য, কফ নির্মূল করতে, কাশি নিরাময়ে এবং এজমা দূরীকরনে খেজুর খুব গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খেজুর খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সাধারণত শুধু খেজুর খাওয়া হয় তবে এগুলি অন্যান্য জনপ্রিয় খাবারের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
তথ্যসূত্র: হেল্থলাইন ডটকম
[প্রিয় পাঠক, আপনি যদি হেলথকেয়ার প্রফেশনাল হন তাহলে স্বাস্থ্যসেবা.কম এ লিখতে পারেন। রোগ লক্ষন ও প্রতিকার, ওষুধ, খাবারের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লাইফস্টাইল নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছবিসহ ই-মেইল করুন- write@shasthoseba.com -এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]