শুধু বৃদ্ধ মানুষই নয়, অনেক তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। জীবন থেকে ধীরে ধীরে সব সুখ হারিয়ে যেতে থাকবে যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ডায়াবেটিস সচেতনতার তেমন কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করা হল:
১. ওজন কমান: ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত ওজন। শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান: যেসব শাক-সবজি ও খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে সেসব খাবার খান। এতে আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেলে তা শরীরে শর্করার শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করুন: ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখবে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।
৪. ধূমপান বর্জন করুন: ধূমপান করলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি যদি ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে চান তবে এখনই ধূমপান বন্ধ করুন। ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে ধূমপান বর্জন করা উচিত।
৫. খাবারের পরিমাণ কমান: মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তাই খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।
৬. লাল আটার খাবার: ধবধবে সাদা আটা-ময়দা বাদ দিয়ে লাল আটার তৈরি রুটি ও অন্যান্য খাবার খাওয়া উচিত। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে। সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দেয়া ঠিক নয়। সকালের নাস্তায় প্রোটিন যুক্ত করলে তা সারাদিনের ক্ষুধা কমায়। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি ডায়াবেটিসকেও দূরে রাখে।
৭. ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিন: ফাস্ট ফুডের দোকানের জাংক খাবার ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা আপনার রক্তে ক্ষতিকর কোলস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রাও বাড়ায়। তাই এসব খাবার বাদ দিতে হবে।
৮. মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রয়োজনে ইয়োগা, মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করুন। রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। তাতে দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে।
[প্রিয় পাঠক, আপনি যদি হেলথকেয়ার প্রফেশনাল হন তাহলে স্বাস্থ্যসেবা.কম এ লিখতে পারেন। রোগ লক্ষন ও প্রতিকার, ওষুধ, খাবারের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লাইফস্টাইল নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছবিসহ ই-মেইল করুন- write@shasthoseba.com -এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]