গাজর দারুণ পরিচিত একটি স্বাস্থ্যকর সবজি। সুস্বাদু এই সবজি যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনি আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রান্না করে নয়, কাঁচা গাজর খেলেই বরং বেশি উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর গাজর আমাদের অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
গাজরের পুষ্টিগুণ:
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) হিসাব অনুযায়ী, একটা মাঝারি সাইজের গাজর বা আধা কাপ কাটা গাজরে আছে প্রায়: শক্তি: ২৫ ক্যালরি, শর্করা: ৬ গ্রাম , আমিষ: ১ গ্রাম , আঁশ: ২ গ্রাম, ভিটামিন সি: ২ শতাংশ, লৌহ: ১ শতাংশ, ক্যালসিয়াম: ১ শতাংশ। এ ছাড়া ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিনের চমৎকার উৎস হলো গাজর। একটা গাজরে আপনার দৈনিক ভিটামিন এ চাহিদার ২০০ শতাংশই পেয়ে যাবেন।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- গাজরের রসে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড়ের শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে নানা রকম হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- দৃষ্টিশক্তির উন্নত করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখে গাজর। কারণ এর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন চোখের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়।
- প্রতিদিন এক গ্লাস করে গাজরের রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। একবার ইমিউন পাওয়ার বেড়ে গেলে রোগে ভোগার আশঙ্কাও কমে।
- গাজরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানকে বের করে দেয়। পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
- গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ডায়াবেটিস রোগ কাছে আসার সুযোগ পায় না।
- গাজরে থাকা ভিটামিন লিভারের ভেতরে থাকা বর্জ্য বের করে দেয়। এ ছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন এ, সি ও বি৬। সেই সঙ্গে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
- হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শীতের সময় অন্যান্য সবজির সঙ্গে গাজর পাওয়া যায় প্রচুর। গাজরের পুষ্টিমান ও উপকার পুরোপুরি পেতে কাঁচা বা আধসেদ্ধ অবস্থায় খান। সেদ্ধ করে বা রান্না করে পানি ফেলে দেবেন না। তাই এ শীতে গাজর খান এবং সুস্থ থাকুন।
[প্রিয় পাঠক, আপনি যদি হেলথকেয়ার প্রফেশনাল হন তাহলে স্বাস্থ্যসেবা.কম এ লিখতে পারেন। রোগ লক্ষন ও প্রতিকার, ওষুধ, খাবারের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লাইফস্টাইল নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছবিসহ ই-মেইল করুন- write@shasthoseba.com -এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]